শাহিন হাওলাদার (বরিশাল) প্রতিনিধি-
বরিশালের বাকেরগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে রাতের আঁধারে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে একজনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। গুরুতর আহত মোঃ বসির হাওলাদার (৫২) কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি পেশায় একজন দলিল লেখক।
মঙ্গলবার (১৭ মে) দিবাগত রাত ১ টার সময় উপজেলার দুধল ইউনিয়নের সুন্দরকাঠী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সুত্র জানায়, উপজেলার দুধল ইউনিয়নের সুন্দরকাঠী গ্রামের মৃত বারেক হাওলাদারের পুত্র মোঃ বসির হাওলাদার মঙ্গলবার রাত ১০ টায় নিজ বাড়িতে স্বপরিবারে ঘুমিয়ে ছিলেন। এদিন তিনি তার বাসার একরুমে এবং তার স্ত্রী দুটি কণ্যা সন্তানকে নিয়ে আরেকটি রুমে ঘুমান। দিবাগত রাত ১ টার সময় মুখে গামছা বাঁধা ৬-৭ জন লোক তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রামদা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় তার স্ত্রী তাকে বাঁচাতে গেলে হামলাকারীরা তাকেও পিটিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা তাদের ডাক চিৎকার শুনে এসে উদ্ধার করে গুরুতর আহত বসির হাওলাদারকে প্রথমে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তার অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তাররা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
আহত বশিরকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাকারীরা প্রায় এক ঘন্টা তাণ্ডব চালালেও তারা ঘর থেকে নগদ কোন টাকা পয়সা কিংবা স্বর্ণালঙ্কার নেয়নি। তাকে হত্যা করতেই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। ঘরের বেডরুম থেকে শুরু করে সামনের ডাইনিং রুমের সামনের অংশ পর্যন্ত পুরো মেঝেতে রক্তের ছাপ।
আহত বসির হাওলাদারের স্ত্রী শারমিন জাহান মেরী জানান, স্বামী ও দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে ওই বাড়িতেই তিনি বসবাস করেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে কোন এক সময় বাসার দরজা খোলা পেয়ে হামলাকারীদের যেকোনো একজন বাসায় ঢুকে খাটের নিচে অবস্থান করে। তারপর সুযোগ বুঝে রাত ১ টা নাগাদ ঘরের দরজা খুলে দিলে আরও ৬-৭ জন ঘরের ভেতর প্রবেশ করে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর স্বামীকে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। হামলাকারীরা আহত বসিরের পায়ের অংশটিকে মাথা ভেবে কোপায় এজন্য হয়তো সে প্রাণে বেঁচে গেছে। তারপরেও ডাক্তাররা তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন। তার ধারনা জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এলাকার কেউ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। হামলাকারীদের কয়েক জনকে তার স্বামী চিনতে পেরেছে।