ঢাকাWednesday , 31 August 2022
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাকেরগঞ্জের গোমা খেয়াঘাটে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য! প্রতিবাদ করলে চাঁদাবাজী মালার হুমকি

Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট◾

বরিশালের বাকেরগঞ্জের গোমা খেয়াঘাটে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার থেকে দুই তিন গুন বেশি ভাড়া আদায় করছেন ইজারাদাররা ফারুক সিকদার। বাড়তি এই ভাড়া নেওয়া নিয়ে প্রতিবাদ কিংবা অভিযোগ করলে চাঁদাবাজী মামলার হুমকি দিয়ে কন্ঠ রোধ করে এই ফারুক বাহিনী।
এর ফলে জনভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায়ের গোমা খেয়াঘাটে এমন নৈরাজ্য চলছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা যায়, এসব খেয়া পারাপার হওয়া সকল যাত্রীরাই বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

সরেজমিনে গোমা খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা যায়, জেলা পরিষদ নির্ধারিত তালিকার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন ইজারাদাররা ফারুক সিকদার বাহিনী । জেলা পরিষদের নির্ধারিত খেয়া পারাপারের ভাড়ার তালিকার সাইনবোর্ড রাতের আঁধারে উঠিয়ে নিয়ে যায়।

বর্তমানে খেয়ায় নদী পারাপার করতে জনপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা এবং মোটরসাইকেল প্রতি ৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।

 

প্রতিদিন খেয়া পারাপার হওয়ায় একাধিক যাত্রীরা বলেন বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয়। এ ছাড়া বাড়তি ভাড়া দিতে না চাইলে অনেক সময় ইজারাদারের লোক জনের কাছে অপমান অপদস্থ হতে হয় বলেও জানান তাঁরা।

গোমা খেয়াঘাটের ইজারাদার মোঃ ফারুক সিকদার বলেন, জন প্রতি ভাড়া ১০টাকা ও মোটরসাইকেল প্রতি ৪০/৫০ নিয়ে থাকি আপনারা পত্রিকায় লিখেন।
ইজারাদার সহযোগী
সোহেল সিকদার বলেন প্রতিমাসে বাকেরগঞ্জ থানায় ৫হাজার টাকা, চরামদ্দি পুলিশ ফাঁড়িতে ৩হাজার টাকা ও মাঝে মাঝে মোবাইলে টাকা লোডদি এমনকি এসিল্যান্ড অফিসে ৫হাজার টাকা করে মাসহারা দিয়ে থাকি।
আমাদের নামে উল্টা পাল্টা কিছু করলে ওসিরে ১০হাজার টাকা দিয়ে, চাঁদাবাজী মামলায দিয়ে দিবো বলে গলাবাজি করতে দেখা যায়।
নলালুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জুয়েল হোসেন বলেন, ‘এখনতো ভাড়া কম হওয়া উচিত। কিন্তু পাঁচটি ইউনিয়ন নলুয়া, কবাই,দূগাপাশা, ফরিদপুর গারুড়িয়াসহ বাউফলের ইউপির সাধারণ জনগণ খেয়াঘাটে জিম্মি। মানুষ জন প্রতি ১০ টাকা মোটরসাইকেল প্রতি ৪০/৫০ টাকা এমনকি হাতে একটা পোটলা থাকলেই ২০০ টাকা দিতে হয়। এই ভাড়া রাতে দ্বিগুণ হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।’

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুজর মোঃ ইজাজুল হক গণমাধ্যমকে জানান, ‘খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে আমরা বিভিন্ন সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করেছি। যদি এখনো হয়ে থাকে তাহলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মানিকহার রহমান বলেন,
‘আমাদের জেলা পরিষদের খেয়াঘাটগুলো সব সময় মনিটরিং করা হয়। এ ছাড়াও খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হলে আমরা সব সময় ব্যবস্থা নিয়ে আসছি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে আবারো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

👉 এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।  
Don`t copy text!