ঢাকাSaturday , 30 April 2022

কুমিল্লা দেবীদ্বার খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ,

Link Copied!

কুমিল্লার দেবীদ্বারে একটি প্রভাবশালী মহল চলমান খালের গতিরোধ ও ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ ও গোরস্তান তৈরী করে যাচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটে উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের বুড়িরপাড় পুরাতন বাজার সংলগ্ন সুবিল-বুড়িরপাড় খালে। যে খালটি রামপ্রসাদ খালের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ওই ইউনিয়নের অধিকাংশ খালই কেউনা কেউ দখল করে গড়েছেন বসত বাড়ী। কেউবা একই সঙ্গে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে দখল করে আসছেন। সংশ্লিষ্ট সংস্থার এসএ, আরএস ও বিএস জরিপে যেখানে খাল দেখানো হয়েছে বাস্তবে সেখানে বহু আগেই ওই খালগুলো ভরাট করে দখল করে নেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, খাল ভরাট করে সড়ক নির্মাণ ও পুকুর খনন করে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। এসময় জানতে চাইলে ড্রেজার মেসিন ব্যাবসায়ি মোঃ শাহআলম বলেন, আমরা আমাদের পারিবারিক গোরস্তানের সংস্কার করছি। ভেকুর সাহায্যে গোরস্তানের মাটি কেটে খালের পাড় ভরাট করছি। পরবর্তীতে ড্রেজার মেসিন দিয়ে মাটি উত্তোলন করে গোরস্তানটি ভরাট করব। তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের নিজস্ব জমির উপ কবরস্থান সংস্কার করছি। লাশ আনা নেয়ার জন্য খালের উপর সড়ক নির্মান করেছি সত্য, তবে সড়কের নিচে ৬ ইঞ্চি ৩টি পাইপ দিয়েছি পানি নিষ্কাশনের জন্য।

স্থানীয় সুরুজ মিয়া জানান, উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের সুবিল গ্রামেই প্রায় ২০-২২ একর খাস জমি ছিল। এ এলাকার বড় বড় খাল ভরাট করে দখল, মার্কেট নির্মান, বাড়ি নির্মাণ ও সড়ক নির্মাণ এখন সাধারন ঘটনায় পরিনত হয়েছে।

ওই এলাকার আলফু মিয়া বলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহেরের নেতৃত্বে বুড়িরপাড় গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া রাম প্রাসাদ খালের মোহনাখ্যাত অংশের (সুন্দর আলীর বাড়ি হইতে রমিজ সরকারের বাড়ি পর্যন্ত) প্রায় এক হাজার পাঁচশত ফুট খাল ভরাট করে সড়ক নির্মাণ করেছেন। ওই খালটি ভরাটের পর থেকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বাকী খালগুলো টুকরু টুকরু ভাগ করে ব্যক্তিগত পুকুর ও মাছের খামার তৈরী করে নিজেদের ইচ্ছেমতো ভোগ করে আসছেন।

প্রবীন কৃষক আব্বাস আলী বলেন, সুবিল, ওয়াহেদপুর, আব্দুল্লাহপুর ও বুড়িরপাড় গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রায় ৮টি বড় বড় খাল ছিল। যেগুলো খালখেকু, ভূমিখেকু, মাটিখেকু সিন্ডিকেটদের কারনে মরে যাচ্ছে, ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। এ খালগুলোর সাথে রামপ্রসাদ খালের এক নিবিড় সম্পর্ক ছিল। রামপ্রসাদ খালটি- মরজরা নদী, বুড়ি নদী, গোমতী নদী, তিতাস নদী, মন্দবাগ নদীর সাথে সংযোগ ছিল। এখনো ওই নদীগুলোর সাথে কিছু কিছু খালের সংযোগ থাকলেও অধিকাংশ খাল প্রভাবশালীদের দখলে থাকার ফলে খালের পানির গতিধারা বিঘ্ন হওয়ায় এ এলাকার মৎসজীবীরা যেমন বেকার হয়ে পড়েছেন তেমনি এলাকার সাধারন মানুষ নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পানি সংকটে ফসলী জমি এবং বীজতলাগুলোও প্রায় ধ্বংসের মুখে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ গিয়াস উদ্দিন জানান, খাল ভরাট করে রাস্তা ও গোরস্তান নির্মাণের বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত স্বাপেক্ষে সত্যতা যাচাইয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
দেবীদ্বার উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশিক উন- নবী তালুকদার বলেন, খাল বা খাস জমি অবৈধ দখলদারদের কাছে রাখার কোন সুযোগ নাই।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
Don`t copy text!