বাগমারা প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাগমারায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তিন ফসলি কৃষিজমি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিসহ সরকারি খাস জায়গা দখল করে অবৈধভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে। উর্বর ফসলি জমিতে পুকুর খনন করায় খাদ্যশস্য উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কৃষিবিভাগ। এসব পুকুর খননে স্থানীয় প্রশাসন কে ম্যানেজ করে দিন-রাত চলছে খনন কার্যক্রম।
গত ২০ ই এপ্রিল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তাহেরপুর পৌরসভার সুলতানপুর মহল্লার সালামের ইট ভাটার পাশে ‘নিষেধাজ্ঞা অমান্যকরে দিন-রাত পুকুর খনন চলছে। পুকুর খননের বিষয়টি এলাকাবাসি উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও কে জানালেও অবৈধ এই পুকুর খনন বন্ধে তাঁরা কোন ব্যবস্থা নেয়নি । নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার সচেতন একাধিক ব্যাক্তি বলেন, পাশে রয়েছে সরকারি খাস ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি। এছাড়াও তিন ফসলি কৃষি জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে । অবৈধ এই পুকুর খননের ফলে পাশ্ববর্তী একাধিক জমি হুমকির মুখে পড়বে ।ফলে ঐ সকল জমির মালিকরা পুকুর খনন বন্ধ করতে বললে , তাদের নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে ।
কৃষি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে ওই এলাকার এক আইনজীবীর করা হাইকোর্টে একটি রিটের প্রেক্ষিতে বাগমারায় সকল প্রকার পুকুর খননে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।কিন্ত এরপরও বন্ধ হয়নি অবৈধ পুকুর খনন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একজন বাসিন্দা জানান, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জাবেদ আলী তালুকদার এলাকাবাসীর আপত্তিশর্তেও একপ্রকার জোর করে অন্যের জমিতে পুকুর খনন করছেন। একই সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিসহ সরকারি খাস জমি দখল করে জাবেদ অবৈধভাবে পুকুর খনন করছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে জাবেদ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পুকুর খননের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি আমার নিজের পাঁচ কাঠা জমি খনন করছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি ।
অবৈধ পুকুর খননের ব্যাপারে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল জলিল কে জানানো হলে তিনি বলেন, “পুকুর খনন কাজ যখন শুরু করবে তাঁকে তাৎক্ষণিক জানালে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দিবেন।