সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: মামলা করার পরে পরিবারের সবাইকে নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমরা বাঁচতে চাই। আবারো বাড়িঘর ভেগে ফেলবে, আমাদের পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে মারবেন, মাঠের ফসল কেটে নিয়ে যাবে, কীটনাশক দিয়ে নষ্ট করবে বলে হুমিকী দিচ্ছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বুলবুল আহম্মদ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে নওগাঁ জেলার সাপাহার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন উপজেলার গোয়ালা ইউনিয়নের কৃষ্ণসদা গ্রামের মো. হারুন অর রশিদের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম বাবুল। এসময় তার সাথে ছিলেন তার মেজো ভাই আশরাফুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই মো. সারওয়ার হোসেন।
মো. নুরুল ইসলাম বাবুল বলেন, আমার দাদার নামে রেকর্ডভুক্ত জমির বিরুদ্ধে করা মামলায় হেরে গিয়ে জোর করে জমি দখলে অপচেষ্টা করছেন বুলবুল আহম্মদ ও তার সন্ত্রাসীবাহিনী।
আশরাফুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার কাজে আমাদের জমি ব্যবহারের অজুহাতে জোর পূর্বক জমি ভরাট করতে যায় মেম্বার। তাতে আমারা নিষেধ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি মোটরসাইকেল যোগে আমাদের বাড়ি সামনে এসে তিনি বলে আমি কোনো কাগজ মানি না। তোরা জমিতে কোন বাধা দিবি না। এছাড়া আরো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তার সন্ত্রাসীবাহিনীকে তার মোবাইলে ডেকে বাড়ি ঘর লুটপাট করেন। একটি মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। ঘরের দরজা ভেঙেও আমাদের বাড়ির সবাইকে বেদম মারে। এরপর ৯৯৯ কল দিলে সাপাহার থানার পুলিশ গিয়ে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
পরে লিখিতভাবে থানায় এজাহার দিলে তারা আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে আমাদের বাড়িতে পুড়িয়ে মারার হুমকী দিচ্ছেন, মাঠে ফসল নষ্ট করার কথাও বলছে। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমরা বাঁচতে চাই। একটু সহযোগিতা করুন বলে অনুরোধ করেন মো. সারওয়ার হোসেন।
এই জমিকে গ্রামবাসী মাদ্রাসার মাঠ করতে চাই বলে দাবি করেন অভিযুক্ত বুলবুল আহম্মদ।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান বলেন, সদস্য বুলবুল আহম্মদের জমিটিতে কোন মালিকানা নেই। শুনেছি জমিটি না-কি পত্তন নিয়েছেন মো. নুরুল ইসলাম বাবুলেরা।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। উক্ত মামলায় ১৭ জন আসামীর মধ্যে ১৫ জনকে জামিন দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। অন্য আসামীদের ধরতে তৎপরতা অব্যহত রয়েছে।